অনিন্দিতা কামিলা , খেজুরী : একজন সাংবাদিক বহু পরিশ্রম করে খবরের সত্যতা যাচাই করে খবর সংগ্রহ করে। সেটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রিন্ট করে পৌঁছে যায় পাঠক পাঠিকাদের হাতে। সকলে সযত্নে গ্রহন করার পর পরের দিন সকালে পৌঁছে যায় ডাস্টবিনে। এমনকি খবর কাগজ বিছিয়ে বসা, কাঁচ পরিষ্কার, বোতল পরিষ্কার, ঠোঙা, খাওয়ার টেবিলে বিছানো, দেওয়ালে মাড়ানো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। বলা যায় যে শিক্ষা সংস্কৃতির মেরুদন্ডই হল খবরের কাগজ।
সেই মূল্যহীন কাগজের মধ্যে যে অমূল্য সম্পদ ভরা রয়েছে সেই তথ্যগুলি তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে জনসমক্ষে। খবর কাগজের মধ্যে যে সব তথ্য থাকে তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় সংরক্ষণের মাধ্যমে। এই সংরক্ষণ নিয়ে একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেছেন খেজুরী ১ ব্লকের টিকাশী গ্রামের মধুসূদন জানা দীর্ঘ ৭ বছর ধরে। প্রোজেক্টটির নাম "অমূল্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ"। উনি বলেন "আমার প্রোজেক্টটির মূল উদ্দেশ্য - সংবাদের মূল্য, সাংবাদিকের মূল্য এবং সর্বোপরি খবর কাগজের মূল্য সমাজের কাছে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে পত্রপত্রিকার ভিতরে কী অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন তথ্যচিত্র লুকানো থাকে।
আমার প্রোজেক্টে বহু পুরোনো প্রায় ৭০-৮০ বছরের খবর কাগজের তথ্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫২ রকমের পত্র-পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহ করেছি। শুধু তাই নয় ১০ টি ভাষায় পত্র-পত্রিকার উপর কাজ করেছি"। যে সমস্ত তথ্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি হল-
জহরলাল নেহেরুর প্রথম পতাকা উত্তোলনের তথ্যচিত্র।
মহাত্মা গান্ধীর শেষ অনশন ও অসহযোগ আন্দোলনের বৈঠকের তথ্যচিত্র ।
১৮৭৪ সালে কলকাতা দৃশ্যের তথ্যচিত্র।
কলকাতাতে যেদিন প্রথম ট্রাম চলে তার তথ্যচিত্র।
১৯৫০ সালে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবেসর তথ্যচিত্র।
ক্ষুদিরামের ফাঁসির স্থলের তথ্যচিত্র।
১৯১২ সালে টাইটানিক দৃশ্যের তথ্যচিত্র।
মাদার টেরিজা যেদিন মারা যায় তার তথ্যচিত্র।
প্রথম কার্গিল যুদ্ধ ও প্রথম বিধবা বিবাহের তথ্যচিত্র।
১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ, পুলওয়ামা অ্যাটাক, নোট বাতিল, ভুজের ভূমিকম্প, বুলবুল, আমফান ইত্যাদি।
এই রকমের ৯০০টি প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সংবাদের মূল্য ,সাংবাদিকের মূল্য , সর্বোপরি খবর কাগজের মূল্য কতখানি তা বতর্মান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়েছে এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে ।
Comments