প্রতিনিধি : জীবন মৃত্যুর ভার যাঁদের হাতে সঁপে দেয় মানুষ, সেই ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় অর্থাৎ 'নিট' সফলভাবে পাশ করলো পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ৩ ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম নাচিন্দার এক গরীব মেধাবী ছাত্র। ছাত্রের নাম - অম্লান পাত্র ।
বাবা - মানিক বরণ পাত্র , পেশায় স্কুল শিক্ষক। মা - অমৃতা পাত্র । অম্লান ছোটো থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো। গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল থেকে পড়াশোনা শুরু। তারপর ২০২০ সালে নাচিন্দা জীবনকৃষ্ণ হাইস্কুল থেকে ৬৬৭ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাস করে ।
পরে ২০২২ সালে কলকাতার যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল থেকে ৪৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে একাদশতম হয়ে পাশ করে । তারপর একবছর ধরে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে অনলাইন ও অফ লাইনে পড়া শোনা করে ২০২৩ সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য নাম্বার ৬৮৪ নিয়ে পাশ করে।
সাধারণ ক্যাটাগরিতে এক সাধারণ পরিবার থেকে নিজের অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য । জানা যায় এই ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এন.টি.এ.)।
এবছর পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৯৬ জন। পাস করেছেন ১১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৭৬ জন। পাশের হাড় ৫৬ শতাংশ। এরকম অবস্থায় সর্বভারতীয় স্তরে ১২৯৮ ও জেনারেল ক্যাটাগরিতে ৮৩৫ করে সকলকে অবাক করে দিয়েছেন ।
প্রত্যন্ত গ্রামের এই মেধাবী ছাত্রকে এলাকার সর্বস্তরের মানুষজন বিশেষত স্কুলের শিক্ষক থেকে গ্রামবাসীরা সকলেই অম্লানের আগামী দিনে ডাক্তার হয়ে এসে জনগণের সেবায় নিয়োজিত হবেন এই শুভকামনা জানিয়েছেন।
コメント