স্বাধীনতার পরবর্তী বছর 1948 সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি 1নং ব্লকের অধীনস্থ বাদলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চন্দনপুর বীরেন্দ্র শিক্ষা সদন এখন পরিণত হয়েছে শ্মশানভূমিতে। প্রকৃতি-সৃষ্ট "আম্ফান"এর প্রলয়ঙ্করি করাল রূপ তাকে প্রায় বদ্ধভূমিতে পরিণত করেছে। "আম্ফান"-এর ধ্বংসলীলা থেকে বাদ পড়েনি বিদ্যালয়ের মূল প্রাচীর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল স্ট্যান্ড কিংবা ছাত্র-ছাত্রীদের ডাইনিং হল , সব ই আজ অতীত। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রায় 15-16টি ইউক্যালিপটাশ গাছ পড়ে সব কিছুই ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। উড়ে গিয়েছে বিদ্যালয়ের ছাদে থাকা জলের ট্যাঙ্ক। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ দাস বলেন "মারণ রোগ করোনার জন্য দীর্ঘদিন লক ডাউন-এর কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতিতে
নিষ্প্রাণ বিদ্যালয়ে "আম্ফান" যেন অগ্নিসংযোগ করলো। তবে আমি আশাবাদী প্রশাসন ও সরকারী সহযোগিতায় খুব শীঘ্রই বিদ্যালয় পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।" এলাকার শিক্ষানুরাগী তথা বাদলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গণেশ মহাকুড় বলেন "বামফ্রন্ট আমলে দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ণ থেকে বঞ্চিত এই বিদ্যালয় যদিওবা এই সরকারের আমলে বিদ্যালয় ভবনের উন্নতি করছিল,কিন্তু প্রকৃতি বাধ সাধলো। তবে আমার দিক থেকে সহযোগিতার কোনো ঘাটতি থাকবে না।"
Comments