প্রতিনিধি : চন্ডিপুর থানার অন্তর্গত ঈশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমিত রায় (৩৩ বছর) শুক্রবার বিকেলে গাছে ওঠেন সবেদা পাড়তে। অসাবধানতাবশত উঁচু গাছের ডাল ভেঙে সুমিত রায় নীচে মাটিতে আছড়ে পড়েন। গুরুতর ভাবে চোট পান পেটে। আকস্মিক দুর্ঘটনায় কিংকর্তব্যবিমূড় সুমিতের পরিজনেরা তাকে নিয়ে চন্ডিপুর মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ।
যন্ত্রনা কাতর সুমিতের শারীরিক অবস্থার দ্রুত ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে পৌঁছানোর সাথে সাথে রোগীর USG, CT Scan করে ডাক্তারবাবুরা বুঝলেন, অনেক উঁচু থেকে পড়ার কারণে সুমিতের প্লীহা প্রচন্ড আঘাত পায় ও ফেটে যায়। ফেটে যাওয়ার কারণে সেখান থেকে অনবরত রক্তক্ষরণ হতে থাকে ও তা পেটের মধ্যে জমা হয়।
অবিরাম রক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রোগীর শরীর ক্রমশ রক্তশূন্য হয়, ফলে হৃদস্পন্দন, রক্তের চাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেক কমতে থাকে। জরুরী ভিত্তিক বৈঠকে আলোচনার পর ডাক্তার বাবুরা জানান রোগীর গ্রাম বাঁচানোর এক মাত্র উপায় হল, প্লীহা কেটে বাদ দেওয়া । প্রায় ৬-৮ ইউনিট রক্তের ব্যাবস্থা করে।
শুরু হয় রোগীর অপারেশন। সিনিয়র সার্জেন প্রফেসার ডাঃ মধুসুদন পাল, জেনারেল সার্জন ডাঃ সুজিত নস্কর, ডাঃ মধুসুদন পাঁজা, ডাঃ কল্যান মিদ্যা , ডাঃ পার্থ প্রতীম দাসের তত্ত্বাবধান ও দক্ষতায় টানা ৩ ঘন্টা ১৬ মিনিট ধরে রোগীর অপারেশন চলে। বর্তমানে রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ।
Comments