প্রতিনিধি : পটাশপুর-১ ও ২, ভগবানপুর ১ ও ২ সহ বিভিন্ন বন্যাকবলিত ব্লক এলাকায় দুর্গতদের জলযন্ত্রণার শেষ নেই । কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভাঙনের পাশাপাশি অতিবৃষ্টির জলের ফাঁড়া কাটতে না কাটতেই ফের জোড়া নিম্নচাপের ফলশ্রুতিতে অতিবৃষ্টিতে নতুন করে জলযন্ত্রণা বাড়তেই আছে । সবচেয়ে জমাজলের দুর্ভোগ বৃদ্ধি হয়েছে পটাশপুর-১ ব্লকের অমর্ষি-১ ও ২, চিস্তিপুর-১ ও ২ অঞ্চল, পটাশপুর -২ ব্লকের মথুরা ও আড়গোয়াল অঞ্চল , ভগবানপুর-১ ব্লকের
শিমুলিয়া,বিভীষণপুর,ভগবানপুর, কোটবাড়,কাজলাগড় অঞ্চল, ভগবানপুর-২ ব্লকের ইটাবেড়িয়া, রাধাপুর,মুগবেড়িয়া অঞ্চল প্রভৃতি এলাকায় জমাজলের পরিমাণ আরো বেড়েছে। গতকাল রাতে অতিবর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় উঁচু রাস্তায় ত্রিপলের ছাউনিতে থাকা মানুষজনকে খোলা আকাশের নীচে সপরিবারে ভিজতে হয়েছে।
ত্রিপলের ছাউনি বাতাসে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পাশাপাশি রাস্তার জলের স্রোত ছাউনির ভিতরে থাকার জায়গাকে ভাসিয়ে দিয়েছে। আবার নতুন করে অনেক বানভাসি মানুষজন নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছেন। আজকের সারাদিন ধরে বৃষ্টি জলযন্ত্রণাকে চরম সীমায় নিয়ে গেছে । প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জেলাশাসককে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে এই সব এলাকায় দুর্গতদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে ত্রিপল,খাদ্য সামগ্রী, পানীয়জল সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দের দাবী জানিয়েছেন।
সেই সাথে রাজ্য সরকারের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরিকেও ত্রাণ বরাদ্দের লক্ষ্যে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানান প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন ।
Comments