প্রতিনিধি : না ! এটি কোন বর্ষাতি ধানের জমি নয় ! যদি এখন রোপনেরই সময় , জমির বদলে রাস্তায় ধান রোপন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নয়াপুট সুধীর কুমার হাইস্কুলের প্রাক্তনীরা । আর ছয় মাস পরেই ঐতিহ্যমন্ডিত এই বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জুবিলী উদযাপন ।
কাঁথি থেকে বিদ্যালয়মুখী ছাত্রছাত্রীদের প্রধান প্রবেশ পথ এটাই । বটতলা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথের শুরুতেই হাত ষাটেক রাস্তা আজ জনগন এর যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় দু বছর ! বিদ্যালয়ের এই রাস্তা মেরামতির জন্য বছর খানিক আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ , এলাকার অভিভাবক ও অধিবাসীগণ মাস পিটিশন জমা দেন স্থানীয় প্রধান থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ পর্যন্ত সকল স্তরেই ।
কিন্তু কোন সুরাহা মেলেনি । প্রতিদিন জল কাদা ডিঙিয়ে ছাত্র -ছাত্রীদের স্কুলে যেতে হয় । এখন লকডাউন চললেও প্রতি মাসে অভিভাবকদের চাল ,আলু, মডেল অ্যক্টিভিটি টাস্ক আনতে স্কুলে যেতে হয় হাঁটু জল পেরিয়ে । অভিভাবক ছাত্র -ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল ক্রমেই ।
আজ বিকেলে সেই ক্ষোভ চরমে ওঠে যখন প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের মোটর সাইকেলের চাকা জল-কাদায় আটকে গিয়ে প্রায় উল্টে যাচ্ছিল , সেই সময় বটতলার দোকানের কাছে দাডিয়ে থাকা স্কুলের প্রাক্তনীরা আর নিজেদের স্থির রাখতে পারেনি । তারা রাস্তার পাশের ধান জমি থেকে চারা গাছ এনে রোপন করা শুরু করে ও নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন ।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌমেন মাইতি , জয়দেব মান্না , চন্দ্রশেখর মাইতি , শিবশংকর জানা প্রমুখরা জানান আমরা স্কুলে যেতাম এই কাদা রাস্তা পেরিয়ে , আজ দু বছর পরেও দেখছি সেই কাদা রাস্তা ! তাই কাঁথি -১ বি ডি ও সাহেবের কাছে একান্ত অনুরোধ ,আমাদের ছোট ছোট ভাইবোনেদের কথা ভেবে স্কুলের রাস্তাটা যেন দ্রুত সারিয়ে দেন ।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বসন্ত কুমার ঘোড়ই বলেন , স্কুলে যাওয়ার বটতলার কাছে মূল রাস্তার এই অংশটুকু মানুষ চলাচলের সত্যিই অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে । প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে আনুন শীঘ্রই । এই যে একাদশের ভর্তি চলবে , উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশীট দেওয়া হবে , অভিভাবকদের ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল চরম ভোগান্তিকর হবে ।
Commentaires