top of page

গত কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে চরম সংকটে মালদার শুটকী মাছ ব্যাবসা : কাজ হারাতে পারেন ২-৩ হাজার মহিলা

হরেন চৌধুরী, মালদা : একে লকডাউন তার উপরে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে চরম সমস্যায় পড়েছে মালদার শুটকি মাছের ব্যবসায়ীরা।বন্ধ হতে বসেছে বসেছে এই ব্যবসা। জেলার কয়েক হাজার এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মহিলা শ্রমিকেরা কাজ হারাবার ভয়ে দিশাহারা। মালদা জেলার ইংলিশ বাজার ব্লকের সাট্টারি বিনোদপুর অঞ্চলের দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক শুটকি মাছের ব্যবসায় জড়িত। ভীন রাজ্য থেকে মাছ আনা শুকানো ও প্যাকেজের কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।

সাট্টারি বিনোদপুর এলাকায় দুই থেকে তিন হাজার মহিলারা এই ব্যবসায় জড়িত। শুটকি মাছের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা মূলত দীঘা থেকে টন টন মাছ নিয়ে আসে মালদার সাতটারী বিনোদপুর এলাকায় । সেখানে মাছ ধোয়া থেকে শুরু করে বাঁশের মাচা করে সেই মাছ রোদ্দুরে শুকাতে হয়। তারপরে সেই মাছ প্যাকেটজাত করে চলে যায় মূলত আসাম দার্জিলিং সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায়। এই কাজে ধোয়া শুকানোর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। ইংলিশবাজার ব্লকের সাট্টারি বিনোদপুর অঞ্চলের দশ-বারোটি গ্রামের ২/৩ হাজার শ্রমিক নিযুক্ত।

মূলত এলাকার প্রতিটি বাড়ির মহিলারা এই কাজে নিযুক্ত। দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বিনিময়ে বাড়ির মহিলারা এই কাজে সহযোগিতা করে।কথা হচ্ছিল সাট্টারি বিনোদপুর সরকারি এলাকার শুটকি মাছ ব্যবসার মহিলা শ্রমিক চিত্রা সরকার , সীমা মন্ডল , রেখা মন্ডল, শিবা মন্ডল এর সঙ্গে।তারা প্রত্যেকেই জানাই গত ছ'মাস ধরে লকডাউন শূটকী মাছের ব্যবসা বন্ধ ছিল। মালিকদের প্রচুর ক্ষতি হওয়ায় নতুন করে এই ব্যবসায় শুরু পথে চাইছিল না। আমাদের আকুতি মিনতিতে এই ব্যবসা পুনরায় শুরু করি। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে বৃষ্টির ফলে খুব সমস্যায় পড়ে গেছে। কিছুতেই মাছ শুকানো যাচ্ছে না। আর কয়েকদিন বৃষ্টি হলে গোটা ব্যবসাটা লাটে উঠবে।

আমাদের রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমরা কি করবো বুঝতে পারছিনা। " জি এমটি টি ড্রাই ফিস সংস্থার কর্ণধার উৎপল চৌধুরী জানান , গত ছয় মাস আগে লকডাউন এর ফলে রাস্তায় গাড়ি আটকে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট হয়েছে। এলাকার হাজার হাজার মহিলা শ্রমিকদের কথা ভাবে আবার ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করি । কিন্তু গত ২১ দিন থেকে যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবার যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো না । আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। " একই বক্তব্য ইফকেশী ড্রাই ফিস সংস্থার কর্ণধার ফিরেন চৌধুরী। তিনি জানান , "লকডাউনের ধাক্কা সামলে এই মাছের ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও গত কয়েকদিন থেকে প্রচুর বৃষ্টি পড়া সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেলে আমাদেরকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা হাজার হাজার মহিলা শ্রমিকদের মজুরি টাকাও দিতে পারব না। "



30 views

Comments


bottom of page