প্রতিনিধি : আমফান ঝড়ে ঘর ভাঙ্গার ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে একাধিক জায়গায় পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিস গুলির স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আগেই উঠেছিল। কাঁথি ৩ ব্লকের সিপিএমের লাগাতার আন্দোলনের চাপে পড়ে কিছুজন প্রাপ্ত কুড়ি হাজার টাকা ফেরত পর্যন্ত দিয়েছিল। ব্লক প্রশাসনের কাছে পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বঞ্চিত ঘর ভাঙ্গা পরিবারগুলি ব্লকে আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল।
কাঁথি তিন নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত গুলিতে সেই সকল পরিবারগুলির ঘর ভাঙ্গার ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া এখন বিশবাঁও জলে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ে ঘর ভাঙ্গা ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্লক পেয়েছিল প্রায় নয় কোটি টাকা। সরাসরি পঞ্চায়েতে ক্ষতিগ্রস্তদের একাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করা হয়েছে। তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত গুলির তালিকা প্রস্তুত করতে দেরি করায় সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ব্লকের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা রাজ্য সরকারকে ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে।এর ফলে পরবর্তীকালে আবেদন করা ব্লকের প্রায় দশ হাজারের বেশি পরিবার আর্থিক সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছে।
ব্লকের সিপিএম নেতা ঝাড়েশ্বর বেরা বলেন, পঞ্চায়েত গুলিতে তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত গড়িমসি করেছে। পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের গুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণে সরকারি বরাদ্দ অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হলো ব্লক প্রশাসন।
আমরা মনে করি যারা প্রকৃত ক্ষতি পূরণের তালিকা তৈরি করে যথা সময়ে সরকারি বরাদ্দ অর্থ প্রদানে ব্যর্থ তারা পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি চালাতে অপারগ। তাদের নৈতিক ভাবে পদত্যাগ করা উচিত। যদিও কাঁথি ৩ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা দাস বলেন, স্বচ্ছ ও প্রকৃত প্রাপকের তালিকা তৈরি করতে একটু সময় লেগেছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে সমস্ত আবেদনকারী ক্ষতিপূরণের টাকা পায়। তার জন্য পুনরায় জেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
Comentários