প্রতিনিধি : সন্ত্রাসের বাধা ভেঙ্গে,খেজুরির গ্রামে গ্রামে সেই লাল ঝান্ডা কে নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন খেজুরি নেতা হিমাংশু দাস। আজ খেজুরি টিকাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কলমদান, জালপাই গ্রামে সি ,পি ,আই (এম)র নেতা কর্মীদের নিয়ে গ্রামের পর গ্রামে খেজুরির প্রাক্তন সভাপতি।
বামফ্রন্টের সময়ে যেই রাস্তা ঘাট ছিল, সেই রাস্তাঘাট এখন ভেঙ্গে চুরে শেষ হয়ে গেছে। উন্নয়নের টাকা এসেছে, তৃণমূলীদের পকেট ঢুকেছে ভুরিভুরি অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। রাস্তাঘাটের এই ১০ বছরে ও কোন উন্নতি হয়নি ।
ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াত, বিশেষ করে অসুস্থ মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন । নিরুপায় হয়ে অসুস্থ রোগীদের দোলায় কাঁধে নিয়ে, জাতীয় সড়কে এসে গাড়িতে তুলতে হচ্ছে। খেজুরি এই গ্রামগুলোর গা দিয়ে বয়ে গেছে শান্ত, শীতল সুনিয়ার নদী। একটু দূরে রসুলপুরের গিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশে গেছে। ঠিক তার ওপারেই ঐতিহাসিক কপালকুণ্ডলার মন্দির।
ঋষি বঙ্কিম চন্দ্রের মানস কন্যা "কপালকুণ্ডলা" রচনার ভিত্তিভূমি। এই নদীর দুই ধারে খেজুরি এবং কাঁথি ২ ও ৩ নম্বর ব্লক। দুই ধারেই মানুষের উপর তৃণমূলী জল্লাদ বাহিনী ২০০৯ এর পর থেকেই সন্ত্রাস নামিয়ে বহু মানুষের ক্ষতি করেছে। সেই দগদগে ঘা এখনো মানুষ ভুলতে পারেননি। তাই আবার নতুন করে লাল ঝান্ডা কে ধরে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবের মাটিতে রূপ দিতে মানুষকে জাগিয়ে তোলার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হিমাংশু দাস, রাম কুমার মাইতি, অবন্তী গিরি, সত্য রঞ্জন মাইতি, শংকর দাস, সৌমেন গিরি, মানবেন্দ্র গিরি, সুশান্ত মাহারা, বাপি মাহারা প্রমূখ নেতৃত্বগন।
এর ঠিক পরেই এই দক্ষিণ কলমদান গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে, দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে, বিদ্যুৎ বিল বাতিলের দাবিতে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গ্রামে গ্রামে লাল ঝাণ্ডার জোট গড়ে তোলার আওয়াজ তোলে, চলছে কৃষক জাঠা। কৃষক জাঠা গ্রাম পরিক্রমার পর একটি সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অবন্তীর গিরি। বক্তব্য রাখেন খেজুরি ১ ব্লক কৃষক সভার সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস, রাম কুমার মাইতি, শেখ শাকিল এবং হিমাংশু দাস।
Comments