প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১১ বছর পর খেজুরীর কামারদা অঞ্চলের কামারদা বাজারের সি.পি.আই.এমের অফিসটি তৃণমূলীরা ভাঙচুর করে,বাকি কিছুটা দখল করে রেখেছিল। উনিশে ডিসেম্বর অফিসটি পুনরায় এলাকাবাসী, শ্রমিক,কৃষক ক্ষেতমজুর সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে সি.পি.আই.এমের শাখা অফিসের বোর্ড সহ লাল ঝান্ডা লাগিয়ে তাদের নিজেদের অফিস নিজেরাই খুলে অফিস চালু করলেন।
নেতৃত্বে রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস, জেলা কমিটির সদস্য যাদবেন্দ্র সাহু, এরিয়া কমিটির সম্পাদক গোকুল ঘোড়াই, গৌরী জানা, অমিয় আচার্য, শেখ মোস্তাক, সমীর কলা, জাহারাজ আলি, নন্দন দাস, শেখ শাকিল ,রত্নেশ্বর দোলোই, শীর্ষেন্দু দাস, জগন্নাথ দোলই, রাম কুমার মাইতি, হারাধন জানা প্রমূখ নেতৃত্বগন। শত শত মানুষের মিছিল কামারদা ১২০, ১২১ নম্বর বুথের প্রত্যন্ত গ্রামের ভিতরে পথ পরিক্রমা করে।
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত। গ্রামের মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে স্বাগত জানায়। আনন্দে আপ্লুত হয়ে বহু মানুষ এসে নেতৃত্বদের জড়িয়ে ধরেন, প্রণাম করেন এবং চোখের জল ফেলতে ফেলতে বিগত দিনের অত্যাচারের কাহিনী গুলি তুলে ধরেন। নেতৃত্বগন তাদের সমবেদনা জানান। আগামী দিনে লাল ঝান্ডা মানুষের প্রকৃত বন্ধু। লাল ঝান্ডাই মানুষকে রক্ষা করবে বলে সান্ত্বনা দেন। কামারদার পর তার তিন মাইল দূরে বাঁশ গোড়া বাজারের অফিসটি ও তৃনমূলীরা ওই সময় দখল করে রেখেছিল।
চারিদিকে লাল ঝাণ্ডার সমারোহ দেখে তৃণমূলীরা পার্টি অফিস ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই অফিসটিও আজকে হিমাংশু দাস আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করলেন। বাঁশগড়ার প্রবীণ নেতা প্রবোধ মাইতি, কার্তিক প্রধান, সুবল সামন্ত সহ বাঁশগোড়া বাজার এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত হয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করলেন ।
আজ থেকে অফিসগুলি চালু হলো। খেজুরি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দলে দলে মানুষ লাল ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে মিছিলে, মিটিংয়ে, প্রতিবাদ সভায় যোগ দিচ্ছেন। মানুষ আবার প্রমাণ করলেন তৃণমূল নয়, বিজেপি নয় লাল ঝান্ডাই তাদের প্রকৃত বন্ধু। খেজুরীর চারিদিকে আবার লাল ঝান্ডা ভরে উঠেছে। বিজেপি, তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ, ঘৃণা প্রকাশ করে লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে সাহসের সাথে মাঠে ময়দানে খেজুরির মানুষ।
Comentarios