top of page

সমুদ্রতীরের রঞ্জিত মানবিকতার দলিল

প্রতিনিধি : দীন দরিদ্র পরিবার । থাকার মধ্যে মাথার উপর ছেঁড়া ত্রিপল । ভাঙ্গা বাঁশের অতিক্ষুদ্র কুঁড়েঘর । ছেলেটি সামান্য মানসিক ভারসাম্যহীন । গত কয়েকদিন আগেই বাবাকে হারিয়েছে । কোন এক অজানা কারণে কিছু বদমাশ লোকজন তার বাবাকে পিটিয়ে মেরেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর । মা গ্রামের একটি প্রাইমারি স্কুলের রাঁধুনী ।

স্কুলে রান্না-খাওয়া-দাওয়ার পরে যা অবশিষ্ট থাকে তা খেয়েই জীবনধারণ করে মা ও ছেলে । ছেলেটির নাম রঞ্জিত জানা । বয়স ১২ । বাবা প্রয়াত শম্ভূ জানা । বাড়ি কাঁথি ১ ব্লকের মাজিলাপুর অঞ্চলের বগুড়ান-জলপাই গ্রামে ।

সমুদ্র তীরবর্তী গ্রাম হওয়ায় গ্রামের সবাই মাছ ধরে সংসার চালায় । সমুদ্রের ধারে মাছ কুড়িয়ে তা বিক্রি করে যা পয়সা হয় সেই নিয়েই চলে মা-ছেলের সংসার । মাছ কুড়াতে গিয়ে পায়ে আঘাত পায় রঞ্জিত । ডাক্তারের পরামর্শ মতো কাঁথির মাদার নার্সিংহোম গত ১০ই মার্চ রঞ্জিতের পায়ে অস্ত্রোপচার হয় । আর্থিক সচ্ছ্বলতা না থাকায় নার্সিংহোমে কিছুই খাওয়া-দাওয়া করতো না মা ও ছেলে । তা নজরে আসে নার্সিংহোমের সুপার রথীন্দ্রনাথ মিত্রের ।

নার্সিংহোমে থাকাকালীন বেশ কয়েকদিন ছেলেটির খাবার সরবরাহ করতো রথীন্দ্রনাথ বাবু । আজ-ই নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পায় এই ছেলেটি । বাড়ি যাওয়ার সময় অবুঝ ও নির্বোধ ছেলেটি হাতজোড় করে নমস্কার করে রথীন্দ্রনাথ বাবুকে বলে যায় 'কাকু ভালো থেকো' । এই ছোট ছেলেটির ব্যবহারে নার্সিং কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট । নার্সিংহোম এর কর্ণধার পবিত্র জানা এই ছোট ছেলেটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন ।


Comments


bottom of page