top of page

রামনগরে "ইয়াস" ত্রাণে বটতলা আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়

প্রতিনিধি : লকডাউনে সারা দেশ ব্যাপী যেখানে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন বন্ধ, পরীক্ষা বন্ধ আছে সেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা অধীর আগ্রহে বিদ্যালয়মুখী হ‌ওয়ার অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে, শিক্ষকরা বাড়িতে বসে বসে অধীর আগ্রহে স্কুলমুখী হওয়ার চেষ্টা করছেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় সেই সন্ধিক্ষণে বটতলা আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয় সাধারণ ও কারিগরি বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের যৌথ প্রয়াসে ইয়াস ত্রাণে ব্রতী হয়েছেন ।


দুটি পর্যায়ে রামনগর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলির দুঃস্থ পরিবারগুলির মধ্যে ত্রাণ কার্য সম্পাদন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষা কর্মীগন । আজ শেষ হলো ইয়াস ত্রাণকার্য ।

তিনটি জায়গায় দুদিন ধরে প্রথম পর্যায়ে পদিমা-১ এর বিশ্বনাথপুরে-৪০ এবং পদিমা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুর শৌলা খটি, দলাই পাড়া-৫০ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আজকে কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের মান্দারমনি এলাকায় ৬২ টি পরিবারকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ত্রান বিতরণ করা হয় । দুস্থ পরিবারগুলির মধ্যে সকল প্রাপকগণ বিশেষ আনন্দিত হন এবং বিদ্যালয়ের এই ধরনের সামাজিক কাজে তারা খুব আপ্লুত হন এবং অভিনন্দন জানান।

বিদ্যালয়ের সাধারণ এবং কারিগরি বিভাগের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও আর্থিক দানে এবং সহযোগিতায় এই কাজ সু-সম্পন্ন হ‌ওয়ায় প্রত্যেককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হৃষিকেশ দাস।

এই ত্রাণকার্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষকদের মধ্যে সুশান্ত কুমার জানা, চন্দ্রকান্ত কান্ডার, সত্যেন্দ্রনাথ সিট, সোমা দত্ত, সুমন মিশ্র এবং শিক্ষাকর্মী শুভাশিস মাইতি , বাপ্পাদিত্য দাস, সুব্রত মন্ডল প্রমুখ। প্রধান শিক্ষক বলেন আগামী দিনে এই ধরনের সামাজিক কাজকর্মের সাথে আমরা যদি লিপ্ত হতে পারি তাহলে সমাজে আমাদের সুনাম বজায় থাকবে এবং আরো উত্তরোত্তর আমাদের সকলের সাফল্য বৃদ্ধি পাবে এবং সমাজকে গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক মহাশয়দের বিশেষ অবদান বজায় থাকবে । সমাজ জানবে শিক্ষক মশাইরা শুধু পঠন-পাঠন নয় সামাজিক কাজকর্মের সাথে‌ও তারা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে থাকেন ।



Comments


bottom of page