প্রতিনিধি : বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ৫৪ টি কলেজের রিপোর্ট , ইনস্পেক্টর অফ কলেজ এবং কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশান দপ্তরের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে , কলেজের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষরা জমা করেছেন গতকাল। রিপোর্ট কি হলো? সেমিস্টার গুলোতে কোন সাবজেক্টে কত পারসেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে পড়ানো হয়েছে? কত দিনের মধ্যে ৮০ পার্সেন্ট সিলেবাস শেষ করতে পারবে কলেজগুলো ? এই প্রশ্নগুলিই বিশ্ববিদ্যালয় রেখেছিল সমস্ত কলেজের কাছে। এখানে ছাত্রছাত্রীরা নিশ্চিত অনেক কলেজ তাদের মান বাঁচানোর জন্য ভুল তথ্য পেশ করবে, এর ফলে যদি অ্যাসাইনমেন্ট হয় সেই তথ্যের ভিত্তিতে তখন ছাত্র-ছাত্রীদের কি হবে ? এই বিষয়টা ভাবার আছে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর স্মার্ট ফোন নেই বা অনেকের স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট সমস্যা আছে তাদের কি হবে ? এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের বিশাল অংশজুড়ে আমফান ঝড়ে অনেকের ঘর ভেঙ্গে গেছে এবং এখনো অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ আসেনি সে ক্ষেত্রে সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কি হবে ? কলেজগুলোর ভুল তথ্যের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কেন ভুগতে হবে ? সেকেন্ড সেমিস্টার আর ফোর্থ সেমিস্টারের গত ৩ মার্চ ক্লাস চালু হয়েছে । ১৬ ই মার্চ রাজ্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে । এর মধ্যে আবার হোলি উৎসব ও ছিল দুদিন । এছাড়াও সেমিস্টারে, অধিকাংশ কলেজের ফেব্রুয়ারির লাস্ট সপ্তাহে ক্লাস চালু হয়েছে এবং প্রায় সব কলেজই পাশ বিভাগের কোন ক্লাস ই করায়নি কিন্তু তারা রিপোর্ট পেশ করে দিয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে বলছে সিলেবাসের অনেকাংশই পূরণ করে দিয়েছে তারা । এই ভুল তথ্যের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের আবার ভুগতে হবে না তো ?
top of page
bottom of page
Comments