top of page

ইউজিসির গাইডলাইনের বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল প্রতিবাদ দুই মেদিনীপুরের কলেজগুলির।

প্রতিনিধি : ইউ জি সি যে নতুন গাইড লাইন দিয়েছে সেই গাইডলাইন অনুযায়ী সমস্ত ইউনিভার্সিটিকে লাস্ট সেমিস্টার এবং লাস্ট ইয়ারে পরীক্ষা নিতে হবে । এখানেই বেঁধেছে গোলযোগ, প্রথমে ইউজিসি রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কে জানিয়ে দিয়েছিল যে পরীক্ষা নিতে হবে না , যে যার মতন অ্যাডভাইজারি করে ইউজিসিকে জানিয়ে দেবে ।



সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকার ৮০:২০ অনুপাতে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একটি অ্যাডভাইজারি নোটিস সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কে পাঠায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় সমস্ত কলেজগুলোকে জানিয়ে দেয়, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ইউজিসি আবার নতুন গাইডলাইন চেঞ্জ করে দেয় তাতে বলা হয় লাস্ট সেমিস্টার এবং লাস্ট ইয়ারের পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক । এই মহামারী পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা যদি পরীক্ষা দিতে যায় , কারো যদি করোনা হয় তার দায়ভার নেবে কে ?

এখন সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী নতুন যে গাইডলাইন তার বিরোধিতা করছে, আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত কলেজের ছাত্রছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইউজিসি গাইডলাইন এর বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করে , ছাত্রছাত্রীরা সবাই নিজ নিজ ঘরে বসে একটি পোস্টারের মাধ্যমে ইউজিসির নতুন গাইড লাইন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, এবং সেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই পোস্ট করে । এই কর্মসূচিতে রামনগর কলেজ, দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়, কলেজ সৎসঙ্গ যোগদা পালপাড়া মহাবিদ্যালয় , পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ , তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয় ,‌ মহিষাদল রাজ কলেজ, মহিষাদল গার্লস কলেজ , মহারাজা নন্দকুমার কলেজ , স্বর্ণময়ী যোগেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় , শহীদ মাতঙ্গিনী গভর্নমেন্ট কলেজ ফর ওমেন , বাজকুল কলেজ , মুগবেড়িয়া কলেজ ছাত্র ছাত্রীরা এই ভার্চুয়াল প্রতিবাদে শামিল হয় ,



মুগবেড়িয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বৈশাখী প্রধান জানান এই মহামারীতে যদি পরীক্ষা করানো হয় তাতে যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হয়, তার দায়িত্ব কে নেবে ? ইউজিসি আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইছে তাই আমরা এর প্রতিবাদ করছি । দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট সভাপতি আবেদ আলী খান জানিয়েছে আমরা প্রথম দিন থেকেই ছাত্র-ছাত্রী পাশে ছিলাম এবং এই আন্দোলনে আমরা সবসময় ছাত্রদের পাশে থাকবো ইউজিসি যে গাইডলাইন দিয়েছে সেটা পুরোপুরি ছাত্র ছাত্রীদের বিরুদ্ধে । তাই আমরা এই তুঘলকী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল আন্দোলনে শামিল হয়েছি । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সমস্ত কলেজের টিএমসিপি ইউনিট রা এই ভার্চুয়াল প্রতিবাদ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী নেতৃত্বে । এছাড়া নিমাই দাস, শুভেন্দু ভোক্তা , লক্ষ্মীকান্ত অধিকারী ,অমিত দিন্দা , প্রসেনজিৎ সামন্ত, শারমিনরা বিবি , শেখ রহমত আলী , প্রমুখ টিএমসিপি ছাত্রনেতারা ভার্চুয়াল প্রতিবাদে সামিল হয় ।





Comentarios


bottom of page